# শেখার কোন শেষ নেই। 7ম থেকে 10ম শ্রেণীর জন্য নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য অনলাইন লাইভ ক্লাস শুরু হয়েছে। এখন নিবন্ধন করুন
Read moreযেকোনো শিক্ষন প্রক্রিয়াকে সচল রাখার জন্য শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের পরিমন্ডলে আবৃত না থেকে - আরও নানা প্রযুক্তি তথা সংস্থার সহযোগিতায় পঠন পাঠন প্রক্রিয়াকে আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যমন্ডিত পাঠক্রমকে সহজ, সরল ও আকর্ষণীয় করে তুলে সকলের সামনে প্রকাশিত করার ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানটি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে , সেটি হল "স্কুল নেট ইন্ডিয়া লিমিটেড"। স্কুল নেট ইন্ডিয়া লিমিটেড শিক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন তথা শিক্ষার্থী, শিক্ষক , শিক্ষিকা, অভিভাবক ও বিশ্বের প্রতিটি সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় নিজেকে নিয়জিত করেছে। এটি শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয় , কি ভাবে শিক্ষাক্ষেত্রের মান আরও উন্নত করা যায় সেই লক্ষ্যে সর্বতভাবে নিযুক্ত রয়েছে। স্কুল নেট ইন্ডিয়া শিক্ষার বিবর্তন এর ক্ষেত্রে নানা ভাবে সহযোগিতা করে থাকে। শিখন - শিক্ষন দক্ষতা বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য স্কুল নেট ইন্ডিয়া নানা তথ্য , যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে থাকে , স্কুলে ব্যবহৃত নানা প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এটি বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করে থাকে। শিক্ষার পরিবেশ সঠিক ভাবে পরিচালনা করা এবং শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য স্কুল নেট ইন্ডিয়া বিশেষ কিছু সংস্থা তথা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করে চলেছে। এগুলি হল যথাক্রমে -
স্কুল নেট ইন্ডিয়া উন্নয়নের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমানে স্কুল নেট ইন্ডিয়ার সমাধান গুলি প্রায় ৩০০০০ এরও বেশি স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে। ২০০০০ + কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে , ৫০০০০০ এরও বেশি শিক্ষিকা শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে স্কুল নেট ইন্ডিয়ার মাধ্যমে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , কর্পোরেট সংস্থা গুলিতে আজ স্কুল নেট ইন্ডিয়ার সমাধানগুলি বিশেষ ভাবে সমাদৃত হচ্ছে। আমাদের সহযোগী সংস্থার সাহায্যে আমরা ভারতের ২৬ টি রাজ্যের ১.৫ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।আমরা আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার ১৭টি দেশেও উপস্থিত রয়েছি যেখানে আমরা প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা, দক্ষতা বিকাশ, জীবিকা নির্বাহ, টেকসই কৃষি এবং এমএসএমই গুলিতে ক্লাস্টার বিকাশে পরিষেবা প্রদান করি। বর্তমানে স্কুল নেট ইন্ডিয়া বিশ্বের বহু স্থানে একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, এমনকি আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তারিত অংশ স্কুল নেট ইন্ডিয়ার বিভিন্ন প্রযুক্তির দ্বারা বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়ে থাকে।
ইফ্রেম ইনফোমিডিয়া -- এক্সেল ইনফোকম গ্রূপ অন্তর্গত একটি অগ্রণী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। বিগত ২৫ বছর ধরে এক্সেল ইনফোকম-এর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মক্ষমতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগ ১ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থীকে সাফল্যের সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ও কর্মক্ষম করে তুলেছে। আমরাই প্রথম সংস্থা, যারা ২৫ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য জন্য ৫০০-রও বেশি কর্মচারী এবং ৫০,০০০ বর্গফুটেরও বেশি উন্নত প্রযুক্তি সহ উপযুক্ত জায়গা রয়েছে।
আমাদের মাল্টিমিডিয়া ডেভেলপমেন্ট বিভাগটি সমগ্র পূর্বাঞ্চলে শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং তা স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল। ই-লার্নিং সলিউশনস, মাল্টিমিডিয়া পরিবেশন, ট্রেন্ড-সেটিং ক্রিয়েটিভস, অডিও-ভিশ্যুয়ালস, অ্যানিমেশন টেকনোলজিস, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অগমেন্টেড রিয়েলটি (এআর) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলটি (ভিআর) –প্রভৃতি ক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে পরিষেবা দিয়ে আমরা বিভিন্ন সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছি।
বিগত ১৫ বছর ধরে, ইফ্রেম ইনফোমিডিয়া তার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সৃজনশীলতা এবং নতুনত্বের মিশেলে উন্নত ও অভাবনীয় পরিষেবা প্রদান করে আসছে। ইউনিলিভার, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, আইটিসি লিমিটেড, অ্যামাজন, কোকা কোলা ইন্ডিয়া, CEAT টায়ারস, ভেসুভিয়াস ইন্ডিয়া এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, দীর্ঘ দু-দশকেরও বেশি সময় জুড়ে বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে তাদের ই-লার্নিংয়ের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে আসছি সুনামের সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে, বর্তমানে আমরা পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিশুদের জন্য প্রথমবার ডিজিটাল ই-লার্নিং শিক্ষামূলক সামগ্রীটি ‘ইশেখা’ ব্র্যান্ডের অধীনে তৈরি করেছি।
উল্লেখ্য, ইশেখা ই-লার্নিং সামগ্রীটি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইশেখার অন্তর্গত ই-লার্নিং পাঠক্রম পড়ুয়ারা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। পড়ুয়াদের পাশাপাশি, এই বাংলা ই-লার্নিং পাঠক্রম শিক্ষকদের কাছেও বর্তমানে সমাদর লাভ করেছে এবং প্রশংসা পাচ্ছে। আমাদের বাংলা ভাষায় তৈরি মাল্টিমিডিয়া ই-লার্নিং সামগ্রীগুলি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৭০০০টিরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত স্কুলে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কোভিড -১৯ মহামারীর সময়ে রাজ্যের পড়ুয়াদের শিক্ষাদানের উদ্দেশে এক সদর্থক ও অভাবনীয় ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের "বাংলার শিক্ষা" পোর্টালের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছিল অনলাইন ক্লাস। সেইসব অনলাইন ক্লাসগুলিতে ইশেখা ই-লার্নিং পাঠক্রম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সামনে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন সম্ভব হয়েছে। যার ফলে, করোনাকালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের খামতি মেটানো সম্ভব হয়েছে এবং অনলাইন শিক্ষাক্রমই হয়ে উঠেছে অন্যতম সেরা মাধ্যম।
বর্তমানে পড়ুয়ারা খুব সহজেই তাদের মোবাইল ডিভাইস বা কম্পিউটারের মাধ্যমে জিনিও ই-শেখার ই-লার্নিং পাঠক্রম গ্রহণ করতে পারছে। এই পদ্ধতি তাদের করে তুলবে পড়াশোনায় সেরার সেরা। জিনিও ই-শেখায় পড়াশোনা এখন বিন্দুমাত্র বোঝা নয়, ষোলোআনা আনন্দই আনন্দ।